জিওডেসি হলো নেভিগেশন, ভূ-তাত্তিক, ভূ-বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিজ্ঞানের একটি অংশ। এটি জাতীয় অর্থনীতি বিনির্মাণ, ভূ-বিজ্ঞান গবেষণা এবং সামাজিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি, জিওডেসিকে একটি যুগান্তকারী রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগত শাস্ত্রীয় জিওডেসির সাময়িক এবং স্থানিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এটি আধুনিক জিওডেসির উন্নয়নে একটি নতুন ধারায় প্রবেশ করেছে। জিওডেসিতে জ্যামিতিক জরিপ এবং মানচিত্র প্রণয়নসহ পৃথিবীর পৃষ্ঠের সমস্ত ধরন অধ্যয়ন করা হয়। জিওডেসিতে পৃথিবীর আকার-আকৃতি, মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্র অধ্যয়ন এবং পরিমাপ করা হয়।
পৃথিবীর পৃষ্ঠে একটি সার্বভৌম বিন্দুর সঠিক জ্যামিতিক অবস্থান দেখানোর জন্য একটি ইউনিফাইড কো-অর্ডিনেট সিস্টেম স্থাপন করা প্রয়োজন। এজন্য জিওডেটিক পরিমাপ টপোগ্রাফিক ম্যাপিংয়ের আগে করা প্রয়োজন হয়। জিওডেসি সূক্ষ নির্ভুলতা এবং রেজোলিউশন সহ তাৎক্ষণিক, গতিশীল এবং পরিমাণগত ভূ-স্থানিক এবং বাস্তব তথ্য সরবরাহ করে। এটি পৃথিবীর ঘূর্ণন, মাধ্যাকর্ষণ, জোয়ার, ভূত্বকের গতিবিধি এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের পরিবর্তনগুলির মতো ভূ-গতিবিদ্যা সম্পর্কিত ঘটনা অধ্যয়নের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
জিওডেটিক ডিটাচমেন্ট, বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর (এসওবি) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এটি প্রথম থেকেই সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে জিওডেটিক সেবা প্রদান করে আসছে এবং জাতীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রাখছে।